GOURAV CREATION
: Introduction :
বন্ধুরা , প্ৰথমেই গৌরভ ক্রিয়েশনে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
শোলা কোথায় এবং কিভাবে জন্মায়
আমরা আগের ব্লগ্গে দেখেছি যে শোলা কোথায় এবং কিভাবে জন্মায়। প্ৰকৃতির এই উপাদান টিকে আমাদের কাছে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই উদ্ভিদ টি বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। প্রজাতি অনুযায়ী শোলাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। আবার শোলা সংগ্রহ করার সময় অনুযায়ী শোলা নরম ও কোমল হয়ে থাকে এবং সাদা ও কালচে হয়ে থাকে। শোলা গুলো তাঁর সময় এর বিভিন্নতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। শোলা সংগ্রহ করার জন্য সুদক্ষ ব্যাক্তির প্রয়োজন হয়ে থাকে। শোলা গুলোকে জলাশয় থেকে সংগ্রহ করা , পরিষ্কার করা , শুকানো এবং সর্বোপরি সারা বছরের জন্য মজুত করার জন্য অবশ্যই একজন সুদক্ষ ব্যক্তিরই প্রয়োজন হয়ে থাকে। সঠিক সময় এর অনুপাতেও শোলার গুনা-গুন নিভর্র হয়ে থাকে। প্রধানত শোলা সংগ্রহের সঠিক সময় হলো ভাদ্র-অশ্বিন মাস ইংরেজি সেপ্টেম্বর - অক্টোবর মাস। এই সময় শোলা সংগ্রহ করলে তাঁর গুণমান এবং বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে এবং খুবই কার্য উপযোগী উপাদান হিসাবে পরিগণিত হয়।
এছাড়াও কার্তিক , অগ্রায়ণ , পৌষ ও মাঘ মাসে সংগ্রহ করা শোলা গুনগত মান ভালো হয় না। এক কথায় শিশির ঝরার প্রাক্কালে সংগ্ৰহ করা শোলার গুনগত মান এবং শোলার সঠিক বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। শীত কালে শিশির ঝরা শুরু হলে শোলাতে অনেক রোগ এর প্রকোপ দেখা যায়। এই সময় শোলাতে কালচে-লাল ভাব প্রদশৃত হয়, কীট-পতঙ্গের উপদ্রপ দেখা যায় তাতে শোলা গুলো খারাপ হতে থাকে। তবে একথা বলা যায় যে এই সময়ে সংগ্রহ করা শোলা সকল প্রকার কাজের উপযোগী না হলেও বিশেষ বিশেষ কিছু কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে। তবে বাংলার ভাদ্র -অশ্বিন মাসে তুলে আনা শোলা গুলদিয়ে সকল প্রকার কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এই সময়ে সংরক্ষিত সোলার গুনগত মান খুবই ভালো হওয়ার দরুন এই শোলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুক্ষ কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে।
1 Comments